জলার বন আর সবুজ টিলার আহ্বান


Untitled-14এই, বৈঠা বাওয়া বন্ধ করো, সবাই চুপ!’ পানিতে নৌকার বৈঠা ফেলার যে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ, সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। নৌকার আমরা ছয়জনও একেবারে নিশ্চুপ। পাছে শব্দ হয়, এই ভয়ে পারলে নিঃশ্বাসও বন্ধ করে রাখি যেন। ‘চোখ বন্ধ করুন, কান পাতুন।’ আশরাফুল কবিরের এ কথার মর্ম বোঝা গেল চোখ বন্ধ করতেই। ছোট্ট দেশি নৌকা একেবারে গতিহীন নয়, তবে শব্দহীন। কান পেতে শুনতে থাকি নানা রকম পাখির কিচিরমিচির। কোনটা কোন পাখির ডাক, তা বলতে পারব না—বলার দরকারও নেই। অপূর্ব নিসর্গে পাখিদের এই আশ্চর্য অর্কেস্ট্রা অনুভব করাই বড় কথা। আশপাশে আঁকাবাঁকা সব গাছ। মাথার ওপরে ডাল-পাতার ভরাট বুনন। মাঝেমধ্যে নীল-সাদা আকাশে উঁকিঝুঁকি। পাখির শব্দ শুনি কয়েক মিনিট ধরে। আশরাফুল বলেন, ‘এভাবেই এই বন উপলব্ধি করা যায়। পাখির শব্দে খোঁজ মেলে বনের আরেক সৌন্দর্য।’ Untitled-15সিলেটের রাতারগুল বনে আষাঢ়ের এক শেষ বিকেলে আমরা যেন প্রকৃতির অংশ হয়ে যাই। সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুরেই পৌঁছেছি সিলেটে। ঘাঁটি সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়কে খাদিমনগরের নাজিমগড় রিসোর্টে। বাক্স-পেটরা রেখে সিলেট থেকে রাতারগুল। প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি উজ্জ্বল মেহেদি পথ বাতলে দেন। আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ আর দেশটিভি ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডন্ট-এর স্থানীয় আলোকচিত্রী আশরাফুল কবির আমাদের সঙ্গী। আশরাফুল হচ্ছেন রাতারগুলপ্রেমিক। এই জায়গা তাঁর কাছে সুন্দরতম স্থান। এখানে গিয়ে কেউ কোলাহল করলে, কেউ চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল ফেললে আশরাফুল ব্যথিত হন। রাতারগুলে গিয়েও সে কথা বোঝা যায়। এটি মূলত জলার বন (সোয়াম্প ফরেস্ট)। বর্ষাকালে এতে পানি থাকে আর শীতকালে এটি শুষ্ক। মাত্র পাঁচ একর জায়গাজুড়ে এ বন। তাই আশঙ্কা, বনটা টিকবে তো?
রাতারগুলে হিজল, করচ, বনজাম, জংলী বট—এসব গাছ একটার সঙ্গে আরেকটা মিলেমিশে তৈরি করেছে অন্য রকম এক প্রকৃতি। আছে মুতরা নামের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। আনিস জানান, মুতরা থেকেই তৈরি হয় শীতলপাটি। ‘Untitled-16আর শীতকালে এই বনের মধ্য দিয়ে হাঁটা যায়। মাটিতে তখন যেন বিছানো থাকে ঝরা পাতার কার্পেট।’ সিলেট শহর থেকে কোম্পানিগঞ্জের রাস্তা ধরে ধুপাগুল, তারপর কাঁচা-পাকা পথ দিয়ে মোটর ঘাট। মোট ৩০ কিলোমিটার। এখানে ছোট নৌকা নিয়ে ১০-১২ মিনিটেই ঢোকা যায় রাতারগুল বনে। বর্ষাকালে বনে ৮-১০ ফুটের মতো পানি থাকে। তার ওপর গাছের চাঁদোয়া। এ বনে সাপ আছে, আছে বানরও। বলতে বলতেই এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফিয়ে গেল একদল বানর। বন থেকে বেরোতে ইচ্ছে হয় না। তবে সন্ধ্যা নামছে দ্রুত, তাই আবার ফিরে চলা। আগের রাতেই ঠিক হয়েছিল প্রথম আলোর শাবিপ্রবি প্রতিনিধি মিসবাহ্ উদ্দিন আমাদের নিয়ে যাবেন লালাখাল আর জাফলং। পরদিন সকাল ১০টার দিকে রওনা লালাখালের দিকে। সিলেট-জাফলং সড়কের মাঝখানে আইল্যান্ডের মতো আছে জৈন্তা রানির বিশ্রামাগার। এর ডান দিক দিয়ে লালাখালের রাস্তা। প্রায় আধঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম লালাখালের মুখে। Untitled-18এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত এক নৌকায় শুরু হলো লালাখাল দর্শন। দুই দিকেই পাহাড়, টিলা। একদিকে চা-বাগান। সময় থাকলে নৌকা থামিয়ে চা-বাগান দর্শনও করা যায়। টিলার ওপরে ওয়াচ টাওয়ারের মতো দাঁড়িয়ে আছে নাজিমগড়ের আরেকটি রিসোর্টের স্থাপনা। খালের একটা দিক বাংলাদেশে, আরেকটা ভারতে। কিছুদূর যেতেই খালের পাশের টিলায় বিএসএফ ক্যাম্প। মাঝি হিন্দি-বাংলা মিশিয়ে চিৎকার করে আরেকটু এগোনোর অনুমতি নিয়ে নিল। নৌকা কিছুটা এগোতে চোখে পড়ল বিরাট এক টিলার ওপর লম্বা লম্বা গাছের সারি। সুপারির বাগান, পড়েছে ভারত সীমানায়। নানা উচ্চতায় টিলার পুরোটাতেই হাজার হাজার সুপারি গাছের সারি। একটার মাথা যেখানে শেষ হয়েছে, আরেকটা সুপারিগাছের গোড়া সেখানে শুরু হয়েছে। সুপারিগাছের এমন বিন্যাস সহসা দেখা যায় না। দুপুরে আমরা পৌঁছালাম জাফলং। তামাবিল-জাফলং সড়কের পাশে ভারতীয় পাহাড়-টিলা। পাহাড়ের সবুজ ভেদ করে শুভ্র রেখা দেখা যায় মাঝেমধ্যে। এগুলো ঝরনা। পাশাপাশি ওপরে-নিচে বেশ কয়েকটা। বর্ষায় ঝরনার সেই জল ঝরে পড়ছে পাহাড়ের গায়ে। জাফলং, প্রকৃতি আর যান্ত্রিকতার বৈপরীত্য যেন এখানে। স্বচ্ছ জলে ভেসে আসে পাথর। নদী থেকে পাথর তুলে নৌকা দিয়ে আনা হয় পাড়ে। শত শত ট্রাকে পাথর তোলা হয়। আর এখানে-সেখানে পাথর ভাঙার যন্ত্র, জান্তব তার আওয়াজ। তবুও নদী নিয়ে ওপারে খাসিয়াপল্লি গেলে আবার অন্য রকম অনুভূতি হয়।
জাফলংয়ের নদীর ওপাশেই ভারতের ডাউকি এলাকা। পাহাড়ের গায়ে লোকালয়। সাদা, হলুদ, নীল ও সবুজ দালান, টিনের চাল। ভারতের মধ্যেই পড়েছে জাফলংয়ের তোলা ছবির সেই বিখ্যাত পটভূমি ঝুলন্ত সেতু। স্বচ্ছ জলের স্রোতে নৌকা থামিয়ে অপেক্ষা করি সেতুর কাছে গিয়ে। মিনিট কয়েক পর সেতুতে ওঠে একটা গাড়ি। মনে মনে ভাবি, সেতু পেরিয়ে উঁচু-নিচু আঁকাবাঁকা পথ ধরে এ গাড়ি নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবে শেষের কবিতার শিলং শহরে।

যেভাবে যাবেন
Untitled-19সড়ক, রেল ও বিমানপথে সিলেট যাওয়া যায়। রাতারগুল যেতে সিলেট থেকে বাস, টেম্পো বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ধুপাগুল, সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় মোটর ঘাট। ভাড়া গাড়ি নিয়ে লালাখাল ও জাফলং ঘুরে আসা যাবে দিনেও। আবার এ পথে বাসেও যাওয়া যায়। থাকার জন্য নানা মানের নানা ভাড়ার হোটেল ও রিসোর্ট আছে সিলেট শহর ও এর আশেপাশে।

জলার বন আর সবুজ টিলার আহ্বান: সংগ্রহঃ ই-প্রথম আলো প্রথম আলো.কম

জলের বনের গল্প

নানান দেশের জলের বন
আমাজনসহ পৃথিবীর অনেক জায়গায়ই সোয়াম্প ফরেস্ট বা জলের জঙ্গল দেখা যায়। স্থানীয়ভাবে আমাজনে এ ধরনের জঙ্গলকে বলে ভারজিয়া। ব্রাজিলে আমাজনে জলে ডুবা অরণ্যকে বলে ইগাপো। অবশ্য ভারজিয়া আর ইগাপোর মধ্যে পার্থক্য আছে। ভারজিয়া সাদা পানিতে ডুবা জঙ্গল, আর ইগাপো কালো পানিতে ডুবা বন। জিংগু, জারি আর টাপাজোস নদী_যারা আমাজনের নিচের অংশে পানি ঢালে তারা খুব কম পলি বয়ে আনে। ফলে এদিকটা পরিচিত ব্ল্যাক ওয়াটার রিভার নামে। আর আমাজন নদীর অন্য অংশ সরাসরি আন্দিজ পর্বতমালা থেকে প্রচুর জৈব আর অজৈব পলি বয়ে আনে। তাই এটি পরিচিত হোয়াইট ওয়াটার রিভার নামে। আমাজন নদীর মুখ থেকে শুরু করে টাপাজোস নদীর মুখ পর্যন্ত বিস্তৃত বনগুলো পরিচিত গুরুপা ভারজিয়া নামে। এখানকার ঘাস, লতা-পাতা, গাছ-পালার একটা অংশ অনেক সময়ই টানা কয়েক মাস আংশিক ডুবে থাকে জলের নিচে। এই বনের গাছপালায় প্রচুর রসালো ফল হয়। যা এই সময় এখানে আস্তানা গাড়া ফলখেকো মাছ, বাদুড় আর বানর জাতীয় প্রাণীর জীবনধারণে দারুণ ভূমিকা রাখে। এই বনে বেশি চোখে পড়ে পাম জাতীয় গাছ, তরুমা প্রভৃতি বৃক্ষ। বেশ কয়েক জাতের কচ্ছপ আর মাছও দেখা যায় এই বনে। কঙ্গো, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশেও বেশ কিছু জলের জঙ্গল আছে। কঙ্গোয় এ ধরনের বনকে একত্রে বলে পশ্চিম কঙ্গোলিয়ান সোয়াম্প ফরেস্টস। কঙ্গোর এই অরণ্য দখল করে আছে গোটা পৃথিবীর মোট জলের জঙ্গলের বেশ বড় একটা অংশ। বনের কোনো অংশ সব সময়ই জলে ডুবে থাকে, কিছু অংশ আবার রাতারগুলের মতো বছরের একটা সময় পানির তলে থাকে। এখানে পাবেন জলে ডুবে থাকা ঘাসের বনও। এই বনে বড় বড় গাছ যেমন চাঁদোয়া তৈরি করে, তেমনি নিচের ঝোপ-জঙ্গলও থাকে বেশ ঘন। মাটি থাকে স্বাভাবিকভাবেই কাদাটে। এমনকি গরিলা আর হাতির মতো বড় প্রাণীরও দেখা মেলে এখানে। মেঙ্েিকার পেনাটানোস ডি সেন্টলার বনের একটা বড় অংশও বছরের কখনো কখনো পানির তলে থাকে। উসুমাচিন্তা আর গ্রিজালভা নদীর ব-দ্বীপে জন্ম হয়েছে ১৭, ২০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই অরণ্যটির। এই বনে দেখা পাবেন কুমিরের। এইসব বনে গাছ বাঁচে যেভাবে
প্রত্যেক উদ্ভিদ-প্রাণী চায় প্রতিযোগিতা এড়াতে। এ জন্য কোনো প্রাণী নিশাচর। কারণ রাতে তাদের কম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। তেমনি কিছু কিছু গাছ অভিযোজিত হয়েছে জলা এলাকার জন্য। এখানে অন্য গাছ জন্মায় না। তাই মাটির পুষ্টি সংগ্রহে এসব গাছকে প্রতিযোগিতায় পড়তে হয় কম। এসব গাছ স্বাভাবিকভাবেই পানিসহিষ্ণু হয়। পানিসহিষ্ণু কোনো কোনো গাছের আবার এরিয়াল রুট থাকে। এ ধরনের শিকড় বায়ুর মধ্যে উন্মুক্ত থাকে। কোনো কোনো গাছের যেমন শ্বাসমূল থাকে, তেমনি করচের থাকে বটের মতো ঝুড়ি। এটাও এক ধরনের এরিয়াল রুট। মূল শিকড় পানিতে ডুবে থাকলেও করচ এই ঝুড়ির সাহায্যে সহজেই বাতাসের অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারে।তথ্যসূত্রঃ১.   কালেরকন্ঠ,

জলের বন রাতারগুল

রাতারগুল জলাবন[১]বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (ইংরেজি: Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২]
বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। তারপর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পয়ে-চলা পথ। আর তখন পানির আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বিলগুলোতে। সেখানেই আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণীকুল।[২]

অবস্থান

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে, গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এই বনের অবস্থান। বনের দক্ষিণ দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর: শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর।[২] সিলেট শহর থেকে এর দূরত ২৬ কিলোমিটার।

জলবায়ু

সিলেটের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত ক্রান্তীয় জলবায়ুর এই বনটিতে প্রতিবছর ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে । বনের সবচাইতে কাছে অবস্থিত সিলেট আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্যমতে এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪১৬২ মিলিমিটারজুলাই মাসটি সবচাইতে আর্দ্র যখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ১২৫০ মিলিমিটার, অন্যদিকে বৃষ্টিহীন সবচাইতে শুষ্ক মাসটি হল ডিসেম্বরমে এবং অক্টোবরে গড় তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৩২° সেলসিয়াসে, আবার জানুয়ারিতে এই তাপমাত্রা নেমে আসে ১২° সেলসিয়াসে । ডিসেম্বর মাসে এখানকার আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ প্রায় ৭৪ শতাংশ, যা জুলাই-আগষ্টে ৯০ শতাংশেরও বেশি ।[৩]

উদ্ভিদবৈচিত্র্য

বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এই মিঠাপানির জলাবনটিতে উদ্ভিদের দু'টো স্তর পরিলক্ষিত হয়। উপরের স্তরটি মূলত বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ নিয়ে গঠিত যেখানে নিচের স্তরটিতে ঘন পাটিপাতার (মুর্তা) আধিক্য বিদ্যমান । বনের উদ্ভিদের চাঁদোয়া সর্বোচ্চ ১৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত । এছাড়াও অরণ্যের ৮০ শতাংশ এলাকাই উদ্ভিদের আচ্ছাদনে আবৃত । বনের স্বাস্থ্য সন্তোষজনক । এখন পর্যন্ত এখানে সর্বমোট ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে ।[৩]
এই বন মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও পরবর্তিতে বাংলাদেশ বন বিভাগ, বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে।[২] এছাড়া জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুন গাছ[১]; আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিয়ান, গুটিজাম, বটগাছও। আছে বট গাছ।[২]

প্রাণীবৈচিত্র‍্য

জলমগ্ন বলে এই বনে সাঁপের আবাস বেশি, আছে জোঁকও; শুকনো মৌসুমে বেজিও দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে বানর, গুইসাপ; পাখির মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। শীতকালে রাতারগুলে আসে বালিহাঁসসহ প্রচুর পরিযায়ী পাখি, আসে বিশালাকায় শকুনও। মাছের মধ্যে আছে টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউশ, রুইসহ বিভিন্ন জাত।[২]

পর্যটন আকর্ষণ

জলে নিম্নাংঙ্গ ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এখানে ভিড় করেন পর্যটকগণ। বনের ভিতর ভ্রমণ করতে দরকার হয় নৌকার, তবে সেগুলো হতে হয় ডিঙি নৌকা[২]— ডিঙিতে চড়ে বনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে দেখা যায় প্রকৃতির রূপসুধা। তবে বনে ভ্রমণ করতে অনুমতি নিতে হয় রাতারগুল বন বিট অফিস থেকে।





তথ্যসূত্র

  1. পাহাড়বাড়ি শুকতারা, সালেহ সফিক; অন্য কোনোখানে, A টু Z, পৃষ্ঠা ১৩, দৈনিক কালের কণ্ঠ; প্রকাশকাল: ১৬ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২।
  2. জলের বন রাতারগুল, ইশতিয়াক হাসান; স্পটলাইট, দৈনিক কালের কণ্ঠ; প্রকাশকাল: ২৮ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২।
  3. জুনায়েদ কে চৌধুরী (২০০৪)। Biodiversity of Ratargul Swamp Forest, Sylhet, আইইউসিএন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কার্যালয় । আইএসবিএন ৯৮৪-৩২-১৯৯৬-৬ ।
  4. সংগ্রহেঃ উইকিপিডিয়া  

Ratargul Swamp Forest

Ratargul is a fresh water swamp forest situated in Sylhet by the river of Goain. Freshwater swamp forests, or flooded forests, are forests which are inundated with freshwater, either permanently or seasonally. The water comes here from the adjacent Goain River. This evergreen forest is getting submerged under 20 to 30 feet water in some part during rainy season. Its a good source of different local fish.
It’s the habitat of different snakes, monkeys, lizards, insects & birds. You would have seen vulture & Eagle if you are lucky.
Some part the forest gets so narrow that you can’t go by boat. You will get the flavor of Amazon forest here.

How to go:
You can reach Sylhet by bus, train or by Plane. Dhaka to Sylhet by bus will take around 6 hours.

Plan 1:
Sylhet Ambarkhana point to Goainghat bazaar by CNG 300-400 tk, 1.5 hrs
Goainghat boat stand to Ratargul Bit office by big boat 800 tk, 1.5 hrs
Bit office to Ratargul forest by small boat 200-300 tk
Ratargul forest to Motorghat 20 mins
Motorghat to Ambarkhana ghat by CNG 35tk/person, 1 hr

Plan 2:
Sylhet Sobhani ghat to Shari ghat by bus (that goes to Jaflong), 30 tk, 1 hr.
From Shari ghat to Goainghat bazaar by humanhaller 15 tk, 0.5 hr.
From goain ghat follow the previous plan.

Where to stay:
You can return from the swamp forrest and stay at any hotel in Sylhet Town

What to eat (food):
Take food from Goain hat or Shari ghat. There is no shop in the forest.

Tips/advise for traveler:
Try to travel early in the morning. You could watch many birds.
Be aware of snake hanging from the tree during rainy season.





Reference: BanglaTrek